সংবাদদাতা, অন্ডাল :- অন্ডালের কাজোড়া গ্রামের বাদ্যকর পাড়ায় অনিতা বাদ্যকর নামে এক মহিলা তিনি তার বাপের বাড়িতে আছেন গত এক মাস থেকে, কিন্তু যেদিন বাপের বাড়িযে আসেন হটাৎ পরের দিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর তিনি দুটি চোখে কিছুই দেখতে পাচ্ছে না বলে বাড়িতে জানান । ওই মহিলার বাবা কাজোরার এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা “মানবিক” এর কাছে খবর দেয় ।এবং সেই সংগঠনের ছেলেরা তড়িঘড়ি তাকে চোখের হসপিটাল নিয়ে যায় । সেখানে ডাক্তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানতে পারে চোখের এ সমস্যাটি হয়েছে তার সঠিক বুঝতে না পারায় তাই সেখান থেকে অন্য এক বেসরকারি হসপিটালে পাঠানো হয় । এবং সেখানে জানা যায় নিউরো সমস্যা এবং তা অনেক ব্যয়বহুল। এরপরে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের মাধ্যমে প্রায় ১২ দিন চিকিৎস্যার পর মেয়েটির দৃষ্টিশক্তি ফিরে পায় ।
গতকাল তার নিজের বাপের বাড়িতে পৌঁছে দেয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। এই সংস্থার সম্পাদক সুবীর মন্ডল বলেন আমরা কোভিড কাল থেকেই এই সংগঠনের হয়ে কাজ করে চলেছি। কিন্তু আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে সবচেয়ে বড় সাফল্য এই মহিলার দৃষ্টি ফিরে পাওয়া। আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে ধন্যবাদ জানাই যে এই স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের জন্য গরিব মানুষেরা চিকিৎসা করাতে পারছেন। তাই এই মহিলার স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকার জন্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চিকিৎসা করাতে পেরেছি এবং উনি দৃষ্টি ফিরে পেয়েছেন । অনিতা বাদ্যকর জানান আমি ধন্যবাদ দিতে চাই আমার এই গ্রামের “মানবিক এর সংগঠনের দাদাদের, কেন না, এনাদের প্রচেষ্টায় আজ আমি আবার পৃথিবীর আলো দেখতে পেয়েছি। আমি জীবনে কোনদিন এনাদের এই উপকার ভুলতে পারবোনা । তাই আজ আমি আমার সাধ্যমত ফুলের স্তবক দিয়ে অভিনন্দন জানাই মানবিক এর দাদাদের।