সোমনাথ মুখার্জি,পাণ্ডবেস্বর: কোরোনা ভীতিকে দূরে সরিয়ে পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি এক নতুন উদ্যোগ নিয়েছিলেন ৷ পয়লা বৈশাখ থেকে নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে বিধবা মহিলাদের জন্য শুরু করবেন “দিদির আশ্রয়ে মাতৃবন্দনা”। এই প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভা কেন্দ্রের ১২০০০ বিধবা মহিলাকে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর পাশাপাশি একটি করে নতুন বস্ত্র প্রদান করবেন বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি।
তিনি কথা দিয়ে কথা রাখলেন। পয়লা বৈশাখের দিন পাণ্ডবেস্বর বিধান সভা কেন্দ্রের ১২০০০ বিধবা মহিলাকে নতুন বস্ত্রের সাথে পাঁচ কেজি করে আটা দেওয়া শুরু করলেন।
বিশ্ব জুড়ে কোরোনা সংক্রমণের আতঙ্কে ভুগছে সাধারণ মানুষ । উৎসবের আনন্দ মুহুর্তের মধ্যে উধাও । বাংলার মানুষের কাছে পয়লা বৈশাখ অর্থাৎ নববর্ষ একরাশ আনন্দ বয়ে নিয়ে আসে । কিন্তু এবার হঠাৎ করে যেন কোরোনা ভাইরাসের জেরে উৎসবের সেই আনন্দ, এক মুহূর্তে শেষ হয়ে গেছে । লকডাউনের ফলে অসহায় দরিদ্র পরিবারগুলি খাদ্য সংকটে ভুগছেন ৷ যদিও তাঁদের পাশে বিভিন্ন সংস্থা , সরকার দাঁড়িয়েছে ৷ আর এই অবস্থায় বিধবাদের অবস্থা আরও শোচনীয় ৷ এবার তাঁদের পাশে দাঁড়ালেন পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি । পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভা এলাকার বুথ সভাপতি, যুব সংগঠনের সভাপতি যাঁরা রয়েছেন , তাঁরা পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভা এলাকাজুড়ে এরকম বিধবা মহিলাদের নাম নথিভুক্ত করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিধবা মহিলাদের হাতে তুলে দেন একটা করে নতুন বস্ত্র ও পাঁচ কেজি করে একটা আটার প্যাকেট ।
জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন ,” দিদির আশ্রয়ে মাতৃবন্দনা এই প্রকল্পের মধ্য দিয়ে আমরা তাঁদের মুখে হাসি ফোটাতে চাইছি ৷ তাঁরা আজ বাস্তবিক ভাবেই অত্যন্ত যন্ত্রণার মধ্যে আছেন । আমার বিধানসভা এলাকার বিধবা মায়েরা ও বোনেরা যাঁরা খুব কষ্টে জীবনযাপন করছেন , এটা তাঁদের পাশে থাকার ক্ষুদ্র প্রয়াস মাত্র ।”
এইরকম একটা সংকটময় পরিস্থিতিতে নববর্ষের শুরুতেই হাতে নতুন বস্ত্র ও খাদ্য সামগ্রী পেয়ে বিধায়ক কে কৃতজ্ঞাতা জানাতে ভলরন নি এলাকার বিধবা মহিলারা।